সরকারি আইন-বিধিবিধান ও সব ধরনের প্রশাসনিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই রাজধানীর বনানীতে সিটি করপোরেশনের জমিতে পাঁচতারকা হোটেল শেরাটন নির্মাণ করেছে বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেড কোম্পানি। এ কাজে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার পূর্ব-অনুমতিও নেওয়া হয়। এরপরও কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দৈনিক প্রথম আলোয় বিভ্রান্তিকর, অসম্পূর্ণ ও ভুল তথ্য পরিবেশন করে বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেড কোম্পানির সুনাম ক্ষুণœ করছে। অথচ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে শেরাটন হোটেলের তাদের প্রাপ্য হিস্যা বুঝে নেওয়ার জন্য ২০১৫ সাল থেকে বারবার তাগিদপত্র দিয়েছে বোরাক রিয়েল এস্টেট। কিন্তু সিটি করপোরেশন তা বুঝে নিতে বিলম্ব করছে। বাধ্য হয়ে বোরাক রিয়েল এস্টেট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ হস্তক্ষেপ কামনা করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই চিঠি দেয়। এ ছাড়া ২০২১ সালের ৩১ মার্চ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের কাছে পৃথক চিঠি দেয় বোরাক রিয়েল এস্টেট কর্তৃপক্ষ। বনানীতে নির্মিত ২৮তলা ভবনটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও বোরাক রিয়েল এস্টেটের যৌথ মালিকানাধীন একটি প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের শুরুতেই যাবতীয় বিধিবিধান ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্মাণ ও শেয়ার বণ্টন করা হয়েছে। ২০০৪ সালে ডিসিসি আহূত
প্রতিযোগিতামূলক জঋচ অনুযায়ী সেরা প্রস্তাবের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের পূর্ব-অনুমোদনক্রমে ২০০৬ সালে বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডকে ‘খবঃঃবৎ ড়ভ অধিৎফ’ প্রদান করে।
নকশা অনুমোদন
বুয়েট কর্তৃক ৩০তলা ভবনের স্ট্রাকচারাল নকশা ভেটিংয়ের পর নিয়ম অনুসারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অথরাইজড অফিসার (প্রধান প্রকৌশলী) তা অনুমোদন করেন। এরপর ৪৪ কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ৬০ কাঠা জমিতে পুরনো ৪তলা ভবনের ওপরে বোরাক রিয়েল এস্টেট ২৮তলা ভবনটি নির্মাণ করে। পরবর্তীকালে ২০২২ সালে বুয়েট পুনরায় ভবনটির অ্যাজবিল্ট আর্কিটেকচারাল ও স্ট্রাকচারাল নকশা ভেটিংয়ের পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শেয়ার বণ্টন
চুক্তিপত্রের শর্ত অনুযায়ী প্রকল্পটি সম্পূর্ণ কমন এরিয়ার মালিকানা সিটি করপোরেশন হওয়ায় প্রকৃতপক্ষে এর সমগ্র আয়তনের কম-বেশি ৫৫ শতাংশ (নেট ৩০%+কমন ২৫%) সিটি করপোরেশনের, যেখানে বোরাকের মালিকানা পুরো ভবনের ৪৫ শতাংশ। কিন্তু সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিকে অসম বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে স্বার্থান্বেষী মহল। প্রকৃতপক্ষে চুক্তিটি অসম নয়। উল্লেখ্য, চুক্তিকালীন সমসাময়িক সময়ে ঢাকা সিটি করপোরেশনের অন্য সব প্রকল্পের শেয়ারের মালিকানা প্রকল্পের তুলনায় অনেক কম ছিল। উদাহরণস্বরূপ গুলশান ২-এর মতো মূল্যবান জায়গায় ঢাকা সিটি করপোরেশনের মালিকানা ২৫ শতাংশ। অন্যদিকে মতিঝিলের মতো বাণিজ্যিক এলাকায় সিটি সেন্টারে সিটি করপোরেশনের মালিকানা ২২ শতাংশ। এখানে আরও উল্লেখ্য, ২০০৪-০৫ সালে বহুতল ভবনের ক্ষেত্রে ভবনের অনুপাত ২০ থেকে ২৫ শতাংশ মালিকানা হতো জমির মালিকের। অন্যদিকে উদ্যোগী সংস্থা অথবা ডেভেলপারদের মালিকানা থাকত ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ। ওই সময়ের প্রায় ২০ বছর পর ২০২৩ সালে এসে এরূপ তুলনা প্রকৃতপক্ষে স্বার্থান্বেষী মহলের দুরভিসন্ধি বলে সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করছেন।
২০১৫ সাল থেকে অনুরোধের পরও সিটি করপোরেশন তার শেয়ার বুঝে নিচ্ছে না
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে তাদের প্রাপ্য অংশ বুঝে নেওয়ার জন্য ২০১৫ সাল থেকে বারবার অনুরোধ করে আসছে বোরাক রিয়েল এস্টেট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখন পর্যন্ত ডিএনসিসি তাদের অংশ বুঝে নেয়নি। ডিএনসিসির সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্বের কারণে ওই প্রকল্প থেকে একদিকে যেমন উদ্যোগী সংস্থা বোরাক রিয়েল এস্টেট বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন, অন্যদিকে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যা চিঠির মাধ্যমে ডিএনসিসির কাছে বিভিন্ন সময় অবহিত করে বোরাক রিয়েল এস্টেট কর্তৃপক্ষ। ডিএনসিসির সিদ্ধান্ত প্রদানে দীর্ঘসূত্রতার জন্য বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের ৪০০ কোটি টাকার ক্ষতি হওয়ার বিষয়টি ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর চিঠির মাধ্যমে ডিএনসিসিকে অবহিত করে ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয়। একই বছরের ১০ আগস্ট ডিএনসিসি মেয়র বরাবর পৃথক আরেকটি চিঠি দেয় বোরাক রিয়েল এস্টেট কর্তৃপক্ষ।
২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের শেয়ার বুঝে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী, মেয়র, সিটি করপোরেশনসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন সময়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
২০১৫ সালের ১০ আগস্ট ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রকে চিঠি দেওয়া হয়। এরপর ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সভাপতি মেয়রের একান্ত সচিবকে অনুলিপি দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ১৯ অক্টোবর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রকে আরও একটি চিঠি দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ হস্তক্ষেপ কামনা করে চিঠি দেয় বোরাক রিয়েল এস্টেট, ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রকে আবার চিঠি দেওয়া হয়। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ মার্চ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি দেয় বোরাক রিয়েল এস্টেট। সবশেষ ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি দেওয়া হয়।
অনুমোদন ছাড়াই ২৮তলা ভবন নির্মাণ কথাটি সঠিক নয়; ২৮তলা ভবন নির্মাণ ও শেয়ার বণ্টনের ক্ষেত্রে বিধিবিধান অনুযায়ী অনুসৃত ধারাবাহিক তথ্য নিম্নরূপ
শেরাটন হোটেল নির্মাণে ২০০৭ সালের ২৫ জুন ঢাকা সিটি করপোরেশনের তৎকালীন অথরাইজড অফিসার কর্তৃক (প্রধান প্রকৌশলী) ৩০তলা ভবনের নকশা অনুমোদন দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২০০৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বুয়েট কর্র্তৃক ৩০তলা ভবনের স্ট্রাকচারাল নকশা ভেটিংসাপেক্ষে ভবনটি নির্মিত হয়েছে। এরপর ২০০৭ সালে সিটি করপোরেশন কর্তৃক বিভিন্ন সংস্থা থেকে ৩০তলার ছাড়পত্র গ্রহণ করা হয় (সিটি করপোরেশন, ডিএমপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, তিতাস, পরিবেশ অধিদপ্তর, ডেসকো, ঢাকা ওয়াসা ইত্যাদি)। সিটি করপোরেশনের আরএফপি (জঋচ) অনুসারে ৬০ কাঠা জমির ওপরই ভবন নির্মাণের জন্য ২০০৪ সালের ১০ এপ্রিল দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। এরপর ২০১১ সালের ২৭ নভেম্বর ডিএনসিসির তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ১৫ থেকে ৩০তলার ভবন নির্মাণের বিষয়টি মেয়র কর্তৃক অনুমোদন হয়েছে মর্মে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার সচিবকে চিঠির মাধ্যমে অবহিত করে। সে সময় মেয়র প্রয়াত আনিসুল হক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং বোরাক রিয়েল এস্টেটকে ২০১৫ সালের ৩১ মে লিখিতভাবে অবহিত করেন। পরবর্তী সময়ে মেয়র আনিসুল হকের অকাল মৃত্যুতে বিষয়টি অনিষ্পন্ন থেকে যায়। এরপর ২০২০ সালের ২ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ অসমাপ্ত কাজের অংশের অগ্রগতি জানতে চেয়ে দ্বিতীয়বার চিঠি প্রদান করে। বর্তমান মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবনসাপেক্ষে কমিটি গঠনপূর্বক বিভিন্ন সময়ে বোরাকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার প্রেক্ষিতে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। মেয়রের উদ্যোগের প্রেক্ষিতে আলোচ্য ভবনের ১৫ থেকে ২৮তলার শেয়ার বণ্টন আগের নেট ৩০ শতাংশের স্থলে ৪০ শতাংশ শেয়ার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে প্রদানের জন্য ডিএনসিসি ও বোরাক রিয়েল এস্টেট লি. সম্মত হয়। পরবর্তী সময়ে ২০২৩ সালের ৭ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের ১৮ ও ১৯তম বোর্ডসভায় উক্ত প্রকল্পের উপরিস্থিত তলাসমূহ (১৫ থেকে ২৮তলা) ৪০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ শেয়ার বণ্টনের বিষয়টি অনুমোদন হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ২০২৩ সালের ২ মার্চ এক পত্রের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগকে বোরাক রিয়েল এস্টেটের সাথে (১৫ থেকে ২৮তলা) শেয়ার বণ্টনের নিষ্পত্তির বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে অবহিত করে। প্রচলিত বিধিবিধানের আলোকে উভয়পক্ষ নিজ নিজ স্বার্থসংশ্লিষ্টতা পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক বাস্তবসম্মত সমঝোতায় উপনীত হয়ে শেয়ার বণ্টনের বিষয়টি চূড়ান্ত করে। সার্বিক বিষয় অবহিত না হয়ে কারও পক্ষে এ বিষয়ে প্রশ্ন উপস্থাপন করা কোনোক্রমেই যৌক্তিক বা সমীচীন নয় বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন।
‘বোরাকের কৃপায় উত্তর সিটি করপোরেশন’ কথাটি সম্পূর্ণ ভুল ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বরং শেয়ার গ্রহণে উত্তর সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতা
প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ‘বোরাকের কৃপায় উত্তর সিটি করপোরেশন’ তথ্যটি সঠিক নয়। বোরাক রিয়েল এস্টেট কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে চিঠি মারফত লিখিতভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে তাদের প্রাপ্য অংশ বুঝে নেওয়ার জন্য ২০১৫ সাল থেকে বারবার অনুরোধ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ সিটি করপোরেশন কর্তৃক প্রাপ্য অংশ বুঝে নেওয়ার বিলম্বের বিষয়টি ২০২১ সালের ৩১ মার্চ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়।
উচ্চতার জটিলতা রেখে ভাগাভাগি’ কথাটি সঠিক নয়
বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেড কর্তৃপক্ষ বলছে, যখন এই ভবন নির্মাণকাজ শুরু করে তখন এটি তেজগাঁও এয়ারপোর্ট জোনের অধীনে ছিল। তৎকালীন সরকার এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় উচ্চতার বিষয়ে কোনো বিধিনিষেধ ছিল না। আনলিমিটেড হাইট ছিল। সেজন্য সিটি করপোরেশন তখন ৩০তলার অনুমোদন দিয়েছিল। পুরো ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর তারা একে শাহজালাল বিমানবন্দরের অধীনে নিয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে বেবিচক কর্তৃপক্ষ বনানী এলাকায় ২০১ ফুট উচ্চতা নির্ধারণ করেছে। অথচ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সন্নিকটে পূর্বাচলে বেবিচক ১৫৫২ ফুট উচ্চতা দিয়েছে। এই অবস্থায়, ৭ কিলোমিটার দূরে বনানীতে ২৮তলা ভবনের ক্ষেত্রে কোনো আপত্তি থাকা যৌক্তিক নয়। উল্লেখ্য, বাস্তবতার আলোকে উচ্চতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার পর্যায়ে রয়েছে।
শেরাটন হোটেলের অবস্থান
বোরাক রিয়েল এস্টেট তাদের প্রাপ্য শেয়ারের নিজ জায়গায় হোটেলটি স্থাপন করেছে যা ১২-২৮তলা পর্যন্ত অবিস্থত। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অংশ সংরক্ষিত রয়েছে যা ৪-১১তলা পর্যন্ত অবস্থিত। ডিএনসিসি এই সংরক্ষিত প্রাপ্য অংশ যে কোনো সময় বুঝে নিতে পারে। উল্লেখ্য, ডিএনসিসির প্রাপ্য অংশে শেরাটনের কোনো কিছুই অবস্থিত নয়।
বর্তমান বাস্তবতা
উক্ত প্রকল্পটি বোরাক রিয়েল এস্টেট ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের যৌথ মালিকানাধীন প্রকল্প। প্রকল্পটির ১৫ থেকে ২৮তলার শেয়ার বণ্টন প্রক্রিয়াটি দুই পক্ষের মধ্যে ইতোমধ্যে মেয়র মহোদয়ের সভাপতিত্বে ডিএনসিসির বোর্ডসভায় তাদের অনুকূলে ৩০ শতাংশের পরিবর্তে ৪০ শতাংশ শেয়ার অনুমোদিত হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৪তলা পর্যন্ত শেয়ার বণ্টন নিয়ে কোনো দিনই কোনো প্রশ্ন ছিল না। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উক্ত সিদ্ধান্ত চিঠির মাধ্যমে ২০২৩ সালের ২ মার্চ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে অবহিত করেছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তাদের প্রাপ্য ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ৪ থেকে ১১তলা পর্যন্ত তাদের প্রাপ্য অংশ যে কোনো সময় বুঝে নিতে পারে। ডিএনসিসি তাদের প্রাপ্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকার সম্পদ এখন বুঝে নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। বস্তুত, ডিএনসিসি তার প্রাপ্য অংশ দীর্ঘদিন ধরে বুঝে না নেওয়ায় কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
২০১৪ সালেও একই প্রকল্প সম্পর্কে প্রথম আলোর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন প্রকাশ
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালেও প্রথম আলো একই প্রকল্প সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরবর্তী সময়ে যার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। কিন্তু প্রতিবেদনটির কারণে সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন বিঘ্নিত হয়।