বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ । ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখার আহ্বান

অনলাইন ডেস্ক »

নিউজটি শেয়ার করুন

রমজানে তেল, চিনি, ছোলাসহ সব ধরণের নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে খুচরা ও পাইকারি ব্যবাসয়ী, উৎপাদনকারী, আমদানিকারক এবং বাজার কমিটিগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রমজান উপলক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, মজুদ, সরবরাহ, বাজার পরিস্থিতি ও বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এই আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন।

এ সময় তিনি বলেন, “বাজার স্থিতিশীল রাখতে ইতিমধ্যে সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এক্ষেত্রে ভোক্তা এবং ব্যবসায়ীদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। ভোক্তাদের যেমন প্রয়োজনের অতিরিক্ত কেনাকাটা থেকে বিরত থাকতে হবে, ব্যবসায়ীদেরও অতি মুনাফা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।”

কোন ব্যবসায়ী যেন ভোক্তাদের কাছ থেকে পণ্যের অযৌক্তি দাম আদায় করতে না পারে সে বিষয়ে বাজার কমিটিগুলোকে তৎপর থাকার আহ্বান জানান মোঃ জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, “আমরা চাইনা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ীদের হেনস্তা করুক। পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ বিষয়ে সরকারের নিয়মনীতি রয়েছে। এসব বিষয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের সচেতন করতে বাজার কমিটিগুলো উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কোন পণ্যের সরবরাহ বিঘ্নিত হলে আমাদের জানান, আমরা সহযোগিতা করবো।”

কোন বাজারে অযৌক্তিক মূল্যে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় হলে এবং এ বিষয়ে বাজার কমিটির উদাসীনতা দেখা গেলে সরকার কমিটির লাইসেন্স বাতিল করবে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

এ সময় এফবিসিসিআই এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, “চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্য যা বৃদ্ধি পাওয়ার পেয়েছ। রমজানকে কেন্দ্র করে এই দাম যেন নতুন করে না বাড়ে। আমরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জেনেছি চিনি, ভোজ্যতেল সহ অন্যান্য নিত্য পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। পাইপলাইনেও (আমদানি পর্যায়ে) যথেষ্ট পণ্য রয়েছে। গত বছর ঈদের আগে বাজারে যে বিশৃঙ্খলা হয়েছিলো, এবার যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয়।“

ব্রয়লার মুরগী, গরুর মাংস এবং ডিমের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সরকার মাংস ও ডিম আমদানির চিন্তাও করতে পারে। এতে করে স্থানীয় শিল্প হুমকিতে পরবে। এফবিসিসিআই সেটা চায় না বলেই সবাইকে নিয়ে মত বিনিময় সভায় বসেছে।“

এসময় অসাধু ব্যবসায়ীদের দায় এফবিসিসিআই নিবে না বলেও সভায় জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

মত বিনিময় সভায় অংশ নিয়ে ভোজ্যতেল এবং চিনি উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা জানান, রমজারে চাহিদার বিপরীতে দেশে পণ্য দুটির পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। কারখানা পর্যায়ে জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে এসব পণ্যের কোন ঘাটতি হবে না।

এ সময় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ জানান, নিত্যপণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাইকারি বাজার কিংবা মিলগেট থেকে রশিদ প্রদান না করায় ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।

আড়ত ও মিলগেটে পণ্য কেনা-বেচার ক্ষেত্রে রশিদ বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি বাস্তবায়নে সরকারের সাথে জোরালোভাবে কাজ করা হবে বলে জানায় এফবিসিসিআই।

মত বিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআই -এর সহ-সভাপতি এম এম মোমেন, মোঃ আমিন হেলালী, পরিচালক এম.জি.আর নাসির মজুমদার, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, হাফেজ হারুন, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, আবু হোসেন ভূইয়াঁ রানু, আক্কাস মাহমুদ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিনসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

আপনার মন্তব্যটি লিখুন
শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »