মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৪ লাখ ৩৭ হাজার দিনমজুর, ২ লাখ ৩৫ হাজার পরিবহন শ্রমিক এবং প্রায় ৫০ হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ১ হাজার ৬০৩ জন গ্যারেজ শ্রমিকের মাঝে ঈদের দুই দিন আগে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে বিতরণ করা হয়েছে। ২৩ জুলাই শুরু হওয়া দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্রদের জন্য এই অর্থ কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে বলে মনে করে সরকার।
করোনা মহামারী থেকে অসহায় ও দরিদ্র মানুষকে সুরক্ষার জন্য সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
সাধারণ ছুটির পর সরকার ৩৫ লাখ মানুষকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে নগদ সহায়তা দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে উপকারভোগীর সংখ্যা ৫০ লাখের তালিকা করা হলেও পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই শেষে কমিয়ে ৩৫ লাখে নামিয়ে আনা হয়।সংশ্লিষ্টরা জানান, নগদ ও খাদ্য সহায়তা ছাড়াও ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার মধ্যে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা গ্রামাঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির কার্যক্রম চালু করার জন্য ৪ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ করা হবে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) মাধ্যমে। ৪ শতাংশ সুদে ব্যাংকগুলো গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে এসব ঋণ বিতরণ করবে। এ প্রসঙ্গে অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এ ধরনের বরাদ্দের জন্য সরকারের ৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল রয়েছে। এ ছাড়াও কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ ও গাড়ি ক্রয় খরচ অর্ধেক কমিয়ে রয়েছে আরও ৫ হাজার কোটি টাকা।