আনন্দ, উৎসব ও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগার্ম্ভীযের মধ্য দিয়ে সারাদেশে উদযাপন হচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। সকালে ঈদ জামাত শেষে ঘরে ঘরে চলছে সুজি, সেমাই, কোর্মা, পোলাও, পিঠা পুলিসহ নানা ধরনের সুস্বাদু খাবারের আয়োজন। পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে একে অপরের বাড়িতে যাচ্ছেন, ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।
ঈদের দিন (২২ এপ্রিল) সকালে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে বিপুল সংখ্যক মুসুল্লিদের অংশ গ্রহণে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শেষ ঈদের নামাজ আদায় করেছেন আব্দুল হামিদ।
ঈদ জামাতে অংশ নেন প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা এবং দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। পাশাপাশি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাতে বিপুল সংখ্যক মুসুল্লি অংশ নেন। প্রতি বছরের মতো এবারও দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। রেওয়াজ অনুযায়ী তিন ধাপের গুলির আওয়াজে সকাল ১০টায় ঈদের জামাত শুরু হয়।
সারাদেশে অনুষ্ঠিত হয় ঈদ জামাত। দিনাজপুরে এশিয়ার সবচেয়ে বড় মিনার ও ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৯টায় জেলার গোর-ই শহীদ বড় ময়দানে হওয়া এই জামাতে একসঙ্গে ছয় লাখ মুসুল্লি অংশ নিয়েছে বলে আয়োজকদের দাবি। বাগেরহাটের বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় ওই মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল ৮টায় দ্বিতীয় এবং সাড়ে ৮টায় তৃতীয় ও শেষ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় ঝিনাইদহ উজির আলী স্কুল মাঠে। ঈদের নামাজের ইমামতি করেন শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব শায়েখ মোহাম্মদ সাইদুর রহমান। যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় খুলনায়। এদিন সুর্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়ক ও সড়কদ্বীপ বাংলা ও আরবিতে ঈদ মোবারক খচিত ব্যানারে সাজানো হয়। ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায় খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে।
এছাড়াও চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, বগুড়া, পটুয়াখালী, রংপুর,রাজশাহীসহ দেশের সকল জেলা উপজেলায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কোথাও কোথাও ঈদ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
ঈদ উদযাপন উপলক্ষে দেশের সকল হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, প্রবীন নিবাস, ছোটমনি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয়নকেন্দ্র, সেভ হোসম, ভবঘুরে কল্যানকেন্দ্র, দুস্থ কল্যান ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।