স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক কর্মকান্ড, রোগ ও রোগীদের সম্পর্কে গণমাধ্যমে তথ্য প্রদানে ঢালাওভাবে নিষেধাজ্ঞায় গভীর উদ্বেগ, নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) বলছে, সিভিল সার্জনের এ নির্দেশনায় ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ ক্ষুব্ধ এবং বিস্মিত।
শুক্রবার ডিআরইউর দপ্তর সম্পাদক মো. জাফর ইকবাল স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির নেতারা এ কথা বলেন।
ডিআরইউর সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান বলেন, গত ৮ জুলাই ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় সরকারি হাসপাতালে রোগীর সেবা সম্পর্কিত ও স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকান্ড বিষয়ে গণমাধ্যমে কোনো প্রকার তথ্য প্রদান ও মন্তব্য না দিতে বলা হয়েছে। সিভিল সার্জনের এ নির্দেশনায় ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ ক্ষুব্ধ এবং বিস্মিত।
নেতৃবৃন্দ মনে করেন, নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ঢালাওভাবে তথ্য না দেয়ার বিষয়টি তথ্য অধিকার আইনের সাথে সুস্পষ্টভাবে সাংঘর্ষিক। এ ধরণের নির্দেশনা অবাধ তথ্য প্রবাহের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি এবং দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে। নিষেধাজ্ঞাটি অবাধ তথ্য প্রদানের জন্য কেবল অন্তরায় নয়, স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট হস্তক্ষেপ এবং স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশ।
করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ রূপ নেয়ায় সারাদেশে জনমনে এক আতংকাবস্থা বিরাজ করছে মন্তব্য করে নেতৃবৃন্দ বলেন, এই পরিস্থিতিতে সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালের বিদ্যমান সক্ষমতা এবং স্বাস্থ্যসেবার নানা বিষয় তুলে ধরে সংকট মোকাবেলায় সরকারের নীতিনির্ধারকদের পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করছে। অন্যদিকে সাধারণ জনগণকে সচেতন ও সাবধান করে তুলতে ভূমিকা রাখছে।
এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম, অপকর্ম ও ব্যর্থতা ঢেকে রাখতেই তথ্য প্রদানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে মনে করেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।